Decluttering- জিনিসপত্র গোছানো নিয়ে নতুন-পুরাতন ধ্যানধারণা (Part-2)

SKILLS

8/15/20251 min read

সামনে “অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দেওয়া” নিয়ে বারবার কথা আসবে। এর জন্য উপযুক্ত একক বাংলা শব্দ আমার জানা নেই। ইংরেজিতে একে বলা হয় Decluttering, আর প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে রাখাকে বলা হয় Uncluttering। বাংলা শব্দ না থাকায় এই ইংরেজি শব্দই ব্যবহার করব—আশা করি এতে বিরক্ত হবেন না।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরানোর আগে আমাদের কিছু নতুন চিন্তাভাবনা গ্রহণ করতে হবে এবং কিছু পুরনো অভ্যাস বদলাতে হবে।

কে কার মালিক?

ধরুন, আপনার ঘরে অনেক ধরনের Stuff বা জিনিসপত্র আছে। যেমন : ফার্নিচার, শোপিস, স্কিনকেয়ার আইটেম, কাপড়-চোপড়, জুতা, ক্রোকারিজ ইত্যাদি। এর মধ্যে কিছু আছে, যেগুলো আপনার তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না। আপনি সকাল-বিকাল সেগুলো ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করে রাখেন। নিজে না পারলে খাদেমা রাখেন। এটা অনেকটা এমন যে, ওই জিনিসপত্রগুলো আপনার মালিকে পরিণত হয়েছে আর আপনি তাদের সেবা করে যাচ্ছেন। কিন্তু কী হওয়া উচিত ছিল?

আপনার Stuff আপনাকে Serve করার জন্য, তাই না?

Decluttering-এর ক্ষেত্রে এটা একটা মূলনীতি যে, আমি আমার জিনিসপত্রের দাস হব না। আমার জিনিসপত্র আমাকে ব্যবহার করবে না; বরং আমি আমার জিনিসপত্রকে আমার প্রয়োজনে ব্যবহার করব।

আনন্দদায়ক ও উপকারী জিনিস

জিনিসপত্র গোছগাছ করা নিয়ে চিরাচরিত একটা ধারা আছে। আর সেটা হলো, আপনার যে জিনিসটা আপনাকে আনন্দ দেয় না, সেটা আপনি ছুড়ে ফেলুন।

দেখুন, আমাদের ব্যবহৃত সমস্ত জিনিস কি আমাদেরকে আনন্দ দেয়? যেমন ধরুন, যাবতীয় আন্ডার-গার্মেন্টস প্রোডাক্ট। এগুলো আমাদেরকে আনন্দ দেয় না, প্রয়োজন পুরা করে। আনন্দ না দিলেও এই আন্ডারওয়্যারগুলোকে আমরা ছুড়ে ফেলে দিতে পারি না। হ্যাঁ, ছিঁড়ে গেলে বা ব্যবহার-উপযোগী না থাকলে সেটা আলাদা কথা।

কিন্তু কোনো জিনিস আমাকে আনন্দ না দিলেই আমরা সেটাকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারি না, যদি সেটা আমার কাজে আসে, আমার উপকারে আসে।

ব্যবহৃত জিনিসগুলোর মধ্যে সেই জিনিসগুলোই রাখার চেষ্টা করব, যেগুলো আমাদের জরুরত পুরা করে এবং উপকারী। আর যেগুলো উপকার পৌঁছায় না, সেগুলোকে খড়কুটার মতো ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেবো।

এ ছাড়া আমাদের ঘরে আরও কিছু কিছু জিনিস আছে, যেগুলো তেমন একটা উপকারী না কিন্তু আমাদেরকে আনন্দ দেয়, মন ভালো রাখে। এ জিনিসগুলোও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ না। ধরুন, আপনার শোবার ঘরের দেওয়ালে আপনার নিজের হাতে আঁকা একটা (প্রাণহীন) ছবি বাঁধাই করে টাঙানো আছে। এই জিনিসটা তেমন একটা আপনাকে উপকার পৌঁছায় না; বরং নিয়মিত এর ধুলা পরিষ্কার করতে হয়। কিন্তু এই ছবিটা আপনাকে আনন্দ দেয়, আপনার ভালো লাগে। এ ধরনের আনন্দের উপকরণগুলো কিন্তু আবর্জনা না, যদিও আপাতদৃষ্টিতে তেমন একটা উপকার পৌঁছাচ্ছে না। কিন্তু আরেকভাবে দেখলে, এগুলো আপনাকে অনেক বড় উপকার পৌঁছাচ্ছে। তার মানে এই জিনিসটার উপযোগিতা আছে।

শুধু শেখা নাকি অভ্যাসে পরিণত করা?

মনে করুন, আপনি ডিক্লাটারিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেন। পরিকল্পনা করলেন যে, ঘরে জিনিসপত্র সে অনুযায়ী বিন্যাস করবেন। পরিকল্পনামাফিক কাজও করলেন। দশ দিন ধরে ঘরবাড়ি গোছগাছ করে একেবারে টিপটপ বানিয়ে ফেললেন। এরপর ক্লান্ত হয়ে গিয়ে আর ওই কাজে হাত দিলেন না। আপনি অবাক হয়ে খেয়াল করলেন, এক মাসের মধ্যে আপনার ঘর আবার অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, অগোছালো হয়ে গেছে।

শুধু শিখে ফেললাম, বিষয়টা জেনে ফেললাম—এটুকুই যথেষ্ট নয়। এটাকে ধীরস্থির একটা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।এই মাইন্ডসেটটা অ্যাডাপ্ট করা ভীষণ জরুরি।

প্রয়োজন বনাম জিনিসপত্র

একেকজনের কাজকর্ম, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, পারিবারিক অবস্থান, ঘরের সদস্যসংখ্যা, মেহমানের যাতায়াত একেক রকম। একেকজনের প্রয়োজনের পরিমাণ তাই একেক রকম। কারও জন্য হয়তো দুইটা জিনিসই প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস। আবার কারও জন্য হয়তো দশটা জিনিসও প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। কারও বাসায় দেখা গেল, অনেক বেশি পরিমাণে মেহমান আসা-যাওয়া করে। তাহলে তার তো সব ধরনের জিনিসই একটু বেশি বেশি লাগবে।

কেউ হয়তো নিজের কাপড় নিজে সেলাই করে পরে, অথবা সেলাই রিলেটেড কাজকর্ম করতে তার ভালো লাগে। তাহলে তার ঘরে কুটিকাটি টুকরা কাপড় একটু বেশি পরিমাণে থাকতেই পারে। কেউ হয়তো তার স্বজনকে কেক বানিয়ে খাওয়াতে পছন্দ করে। তার ঘরে দু-একটা বেশি বেকিংয়ের সরঞ্জাম থাকতেই পারে।

আবার, কেউ হয়তো কোনো একটা প্রোডাক্টের বিজনেস করে। তারও একটু বেশি জিনিসপত্র থাকতে পারে।

আবার কারও বাসায় বিভিন্ন ইলেকট্রিক টুল্‌স, প্লাম্বিং টুল্‌স, কুরবানীর পশু জবাইয়ের প্রয়োজনীয় টুল্‌স থাকে। এগুলো নিত্যদিন কাজে লাগে না। কিন্তু বছরে দু-একবার হলেও এগুলো ভীষণ প্রয়োজনীয় হয়ে দেখা দেয়। না থাকলে কিনতে হয় অথবা ধার করতে হয়। আমাদের প্রয়োজনের নানা রংঢং আছে।

আসলে মোদ্দাকথা হলো, জিনিসটা আমার কাজে লাগছে নাকি লাগছে না। Decluttering-এর আগে অবশ্যই এই বিষয়টাতে পরিষ্কার বুঝ থাকতে হবে।

সাজানো-গোছানোর উদ্দেশ্য কী?

** আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইন্ডসেট হলো, জিনিসপত্র কম রাখা উদ্দেশ্য না, এটা শুধুই একটা সহায়ক।

এই ছোট জীবনে যেন বেশি বরকত পাই, সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারি, সেই লক্ষ্যে একটি সহায়ক দিক হলো Clutter-free থাকা

এই বিশ্বাসটা ঠিকঠাক না বুঝে কেউ যদি Decluttering-এর দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে, তবে সম্ভাবনা আছে, এটাই তার একটা রোগে পরিণত হতে পারে। হতে পারে, সে খুব খুঁতখুঁতে হয়ে যাবে; অথবা হতে পারে, সে শুচিবাই রোগী হয়ে যাবে।

জিনিসপত্র কম রাখাকে উদ্দেশ্য না বানানো; বরং এটা নিজের উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়কের ভূমিকায় থাকবে।

এটা খুব ভালো করে বুঝে নেওয়া দরকার, আমি আসলে আমার জিনিসপত্র মিনিমাইজ করতে চাই, নাকি আমার জীবনযাত্রাকে ম্যাক্সিমাইজ করতে চাই।

অতিরিক্ত কেনাকাটা

এটা আমরা সবাই বুঝি যে, কেনাকাটা কী পরিমাণে সহজ হয়েছে এখন। আপনি যে জিনিস কিনতে চান, সে জিনিসের কাছেও আপনাকে যেতে হবে না। সেই জিনিসই নিজে নিজে আপনার দোরগোড়ায় হাজির হবে। আগেকার দিনের রাজা-বাদশাহরাও এমন জীবন কল্পনা করতে পারত না, যে জীবনযাত্রা আমরা এখন যাপন করি।

এক ক্লিকেই লাখ টাকার কেনাকাটা done! এক ক্লিকেই পেমেন্ট done! শপিং মলে, বাজারে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করতে যে কষ্টটুকু হয়, ফেইসবুক মার্কেটপ্লেস বা অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে সেই কষ্টটুকুও হয় না। কোন ফাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায় নিজেরাও টের পাই না।

কেনাকাটা খুব সহজ হয়ে যাওয়াটা সমস্যা না; এ তো সুখের কথা। সমস্যা তখনই হয়, যখন আমরা নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। আর সেই সুযোগে বিভিন্ন আকর্ষণীয় অ্যাড আর ডিসকাউন্ট কুপন আমাদেরকে মুহুর্মুহু ট্র্যাপে ফেলে। আর আমরাও হরহামেশাই টোপটা গিলে ফেলি। ইচ্ছা না থাকলেও, পরিকল্পনা না থাকলেও কেনাকাটা করে ফেলি অনেক কিছু।

কুরআন-হাদীস থেকে আমরা জানি, নিকৃষ্টতম স্থান হচ্ছে বাজার।অনলাইন মার্কেটও যেহেতু একধরনের বাজার, তাই এ বাজারও নবীজী বর্ণিত নিকৃষ্ট স্থান হবে সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে বুঝে দেখুন, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ব্যস্ত থাকছি, তার মানে নিজের ঘরে নিজের বিছানায় শুয়ে থেকেও যেন আমি একটা নিকৃষ্টতম স্থানে আছি।

হ্যাঁ, প্রয়োজন আছে, কেনাকাটা করছেন সেটা আলাদা কথা। কিন্তু প্রয়োজন নেই, তবুও মার্কেটপ্লেসে ঢুকে দেখছেন কী আছে না আছে, এটার দাম কত, ওটার দাম কত। এটা কেমন না! এই আমরাই আবার বলছি, জীবনের সব বরকত উঠে গেছে, সময়ই পাই না! এটা হলো কিছু!

অনেক জিনিসের ভিড়ে কাজের জিনিসটা কেনা এক যুদ্ধ, সেই জিনিসটা ঘরে নিয়ে আসার পর ঠিকঠাক করে রাখা আরেক যুদ্ধ।

কোনো জিনিস কেনাকাটার ক্ষেত্রে একটা ছোট্ট প্রশ্ন নিজেকে করা দরকার, যে জিনিসটা আমি কিনতে চাচ্ছি, তা কেনার মতো যৌক্তিক প্রয়োজন আসলে আছে কি না।

এই প্রশ্নের বাস্তবসম্মত সঠিক নিরপেক্ষ উত্তরই আপনাকে বলে দেবে, আপনি আসলে জিনিসটা কিনবেন নাকি কিনবেন না।

এ ছাড়া জিনিসপত্র কেনাকাটার আগে আরেকটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার। আমরা জিনিসপত্র রাখি, কিনি বা সংরক্ষণ করি অন্য কাউকে ইমপ্রেস করার জন্য না; নিজেকে সার্ভ করার জন্য, নিজের প্রয়োজন পুরা করার জন্য, নিজেকে হাসিখুশি রাখার জন্য।

আমি বাসায় একটা ফার্নিচার কিনলাম, যাতে আমার অমুক আত্মীয় এসে খুশি হয়। মানুষজন আমাকে দেখে বাহবা দেয় যে, বাহ, আমি কত সুন্দর সাজিয়ে রাখতে পারি! বান্ধবীরা এসে চোখ কপালে তুলে বলে, তোদের রুম ডেকোরটা কী ইউনিক!

এমনটা নয়। আপনার জিনিসপত্র দেখে গোটা দুনিয়ার মানুষ অবাক হয়ে গেল, তাতে কী আসে-যায়!

আমি কীসে ভালো থাকব, প্রোডাক্টিভ থাকব, মানুষের জন্য কিছু করব—সেটা হলো বিষয়।

হ্যাঁ, আপনাকে একেবারে সাদেকী হয়ে যেতে হবে এমন না। তবে আপনাকে যেকোনো জিনিস নেওয়ার ক্ষেত্রে বা কেনার ক্ষেত্রে ভেতরের যে তীব্র বাসনা, সেটাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। Decluttering-এর এটা বড় একটা মূলনীতি।

মিনিমাম-ম্যাক্সিমাম

আপনি হিসাব-নিকাশ করে ফিগার আউট করলেন, কোন জিনিসগুলো আপনার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আর কোনগুলো অপ্রয়োজনীয়। আপনি পেয়ে গেলেন আপনার Minimum Stuff। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই জিনিসটুকুই শুধু আসলে আপনার প্রয়োজন। এই জিনিসগুলোই আপনার Maximum Stuff হওয়ার কথা।

আমার জিনিসপত্র তো খুবই কম, কী গুছিয়ে রাখব?

-- যাদের টাকা-পয়সা বেশি, তারা অনেক অনেক করে জিনিস কেনে, Decluttering তাদের জন্য। আমি গুনে গুনে হিসাব করে জিনিস কিনি। জিনিসপত্র গোছগাছ করে রাখা, অল্প অল্প রাখা—এসব নীতি আমার জন্য না।

এটা একটা মাইন্ডসেট। ‘আমার জিনিসই দুইটা, আমি আর কী গুছিয়ে রাখব!’

দেখুন, প্রত্যন্ত কোনো গ্রামের মধ্যে গিয়েও দশটা বাড়ি যদি আপনি ঘুরেন, তার মধ্যে দুইটা বাড়ি এমন পাবেন, উঠোনটা মাটি দিয়ে খুব সুন্দর করে লেপা আছে, পাটকাঠির বেড়ার সাথে পাতাবাহার, গাঁদা ফুলের গাছ লাগানো আছে। তার দুইটা জিনিস আছে, তো দুইটাই পরিপাটি।

আবার অনেক বাড়িতে ঢুকলে দেখতে পাবেন এর ঠিক উল্টো চিত্র। বিছানার নিচে কুলের আঁটি, বিস্কুটের প্যাকেট, আলনার ওপর কাপড়ের স্তূপ। এলোমেলো, জড়ানো-কুঁচকানো বিছানার চাদর। এটা কি দরিদ্রতার সাথে সম্পর্কিত নাকি মানসিকতার সাথে? হ্যাঁ, দরিদ্রতার কারণে বিছানার চাদর ছেঁড়া হতে পারে, তাতে তালি থাকতে পারে। কিন্তু এলোমেলো, কুঁচকানো, ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে না। বিছানার ওপর ব্যবহার্য কাপড়-চোপড়ের স্তূপ থাকতে পারে না।

আমার দূরসম্পর্কের একজন খালা আছেন। আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম, মাঝে মাঝেই উনার বাড়িতে বেড়াতে যেতাম। উনার মাটির ঘর ছিল, উঠোনটাও মাটির; চারিদিকে পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘেরা ছিল। উনার ঘরের ফ্লোরও মাটির। কিন্তু উনি এত সুন্দর করে মাটি দিয়ে লেপে রাখতেন, চকচক করত সবকিছু। এবং মজার ব্যাপার হলো, উনার বিছানার চাদর, বালিশের কভার ছিল একদম ধবধবে সাদা, মাড় দেওয়া, কড়কড়ে। মাটির ঘরে থেকেও তিনি সাদা বিছানার চাদর মেইন্টেইন করতেন। এটা নিছক মানসিকতার ব্যাপার। হ্যাঁ, টাকা-পয়সা তো আমাদের লাগেই। কিন্তু নিজের যা আছে সেটুকুকে একটু টিপটপ রাখতে কত বেশি টাকা লাগে! দামি খাট, দামি সোফা, দামি আলমারি ছাড়াও ঘর টিপটপ রাখা যায়।

আমি আমার ছোট অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এই পরিপাটি থাকার সাথে আতিথেয়তার একটা সম্পর্কআছে। যারা নিজেদেরকে সুন্দর করে রাখে, নিজের যা আছে সেটুকুকে গুছিয়ে রাখে, তাদের মধ্যে অতিথিপরায়ণ একটা ভাব থাকে। হ্যাঁ, ব্যতিক্রম হতেই পারে। তবে আমার মনে হয়, ঘরদোর সুন্দর করে সাজানোর সাথে দস্তর সাজানোর একটা সম্পর্ক আছে।

দেখুন, যে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল তার ঘরেও আপনি অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস পাবেন। রান্নাঘরে বস্তাভরা হাঁড়ি-পাতিল পাবেন। ফার্নিচার মোছা বা ঘর মোছার জন্য হরেক রকমের ছেঁড়াফাটা কাপড় পাবেন। পাবেন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও, যা এলোমেলো ও অবিন্যস্ত করে রাখা হয়েছে। এই অগোছালো রাখার কারণ কি দরিদ্রতা?

এগুলো একেকটা বিশ্বাস বা মাইন্ডসেট। সেগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করলে ডিক্লাটারিং কিছুটা হলেও সহজ হয়ে যায়।

তাহলে ডিক্লাটারিং কী সেটা মোটামুটি বোঝা হলো। এখন কাজে নামার পালা। পর্যায়ে জিনিসপত্র অর্গানাইজ করা নিয়ে কিছু উপায় আলোচনা করা হবে।